ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের কানপুরে গৃহশিক্ষিকার প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর। হত্যাকাণ্ডটিকে অপহরণ হিসেবে দেখানোর জন্য কিশোরের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চেয়ে চিঠি লেখে অভিযুক্ত। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ বলছে, কিশোরটি দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তাকে গৃহশিক্ষিকা রচিতার প্রেমিক প্রভাত শুকলা একটি স্টোর রুমে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, ওই কিশোর স্বেচ্ছায় তার বাসা থেকে প্রভাতের সঙ্গে স্টোররুমে যায়। প্রভাত কিশোরটিকে বলেছিল, তার শিক্ষক রচিতা তাকে ডাকছে।
পুলিশ বলছে, কিশোরটি এবং প্রভাতকে একসঙ্গে সে কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়। প্রায় ২০ মিনিট পর প্রভাত একা কক্ষটি থেকে বের হয়। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে পুলিশ বলছে, এরপর অন্য কাউকে আর সে কক্ষে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এরপর পোশাক বদলে কিশোরের স্কুটার নিয়ে চলে যায়। পুলিশ এ মামলায় প্রভাত, ২১ বছর বয়সী রচিতা ও তাঁদের বন্ধু আরিয়ানকে গ্রেপ্তার করেছে।
কিশোরের পরিবার একটি মুক্তিপণের চিঠিও পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, সে চিঠি পরিবারের কাছে পৌঁছানোর আগেই কিশোরকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ বলছে, ‘মুক্তিপণ চেয়ে চিঠি দেওয়ার আগেই কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এ চিঠি মনোযোগ সরানোর একটি কৌশল ছিল।’
তবে এ হত্যার উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি।