বেশ কয়েক মাস আগেই বিহার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা পাস করে শিক্ষক হয়েছেন ভারতের গৌতম কুমার। গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) স্কুল থেকে তিন থেকে চারজন ব্যক্তি তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গৌতমকে বন্দুকের নলের মুখে অপহরণকারীর একজনের মেয়ের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।
বর অপহরণের ঘটনা বিহারে নতুন নয়। ‘পাকাড়ওয়া বিবাহ’ নামে পরিচিত বর অপহরণের ঘটনা বিহারের বহু বছরের ইতিহাসের অংশ। এ ক্ষেত্রে অবিবাহিত পুরুষদের বন্দুকের নলের মুখে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়।
পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলে, অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বৈশালী জেলায়। সেখানকার উতক্রামিত মধ্য বিদ্যালয়ে গৌতম নবনিযুক্ত শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনার পর গত বুধবার রাতে গৌতমের পরিবার একটি রাস্তা অবরোধ করে এর প্রতিবাদ জানায়। পরবর্তীতে পুলিশ নিখোঁজ শিক্ষককে খুঁজে বের করতে উদ্ধার অভিযানের শুরু করে।
গৌতমের পরিবার গৌতমের অপহরণের জন্য রাজেশ রায় নামের এক ব্যক্তি দায়ী বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁরা রাজেশের পরিবারের বিরুদ্ধে গৌতমকে জোর করে তুলে নিয়ে রাজেশের মেয়ে চাঁদনির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন।
বিয়ের প্রস্তাব মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন রাজেশ। তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতনও করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি পাটনা হাইকোর্টে নাওয়াড়ার এক সেনাবাহিনীর সদস্য ও এক লাখিসারাইয়ের নারীর ১০ বছরের জোরপূর্বক বিয়ে বাতিল করা হয়।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আরও তদন্ত করা হচ্ছে।
গত বছর ভারতের বেগুসরাইতে অসুস্থ পশুর চিকিৎসা করার অজুহাতে এক পশু চিকিৎসককে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে তিন ব্যক্তি মিলে অপহরণ করে এবং বিয়ে করতে বাধ্য করে। কয়েক বছর আগে একই রকম ঘটনার শিকার হয়ে ভারতের জাতীয় শিরোনাম হয়ে ওঠেন বিহারের এক প্রকৌশলী।