হোম > বিশ্ব > ভারত

ভারতে মুসলমানদের ওয়াক্ফ বোর্ডে থাকবে ২ অমুসলিম সদস্য, বিল পাস

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মুসলমানদের ওয়াক্ফ বোর্ডের ২ জন অমুসলিম সদস্য রাখার বিধান রেখে বিল পাস করেছে ভারত। ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় বলা যায় কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই পাস হয়েছে মুসলিমদের সম্পত্তিসংক্রান্ত বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিল। এরপর লোকসভায় পাস হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলটি উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়ও দীর্ঘ বিতর্ক শেষে সহজেই পার হয়ে গেল। ভোটাভুটিতে বিলের পক্ষে ১২৮টি এবং বিপক্ষে ৯৫টি ভোট পড়ে। আশঙ্কার বিষয় হলো, এই বিলে ওয়াক্ফ বোর্ডে ২ জন অমুসলিম সদস্য রাখার কথা বলা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সংশোধিত ওয়াক্ফ বিলের বিতর্কিত বিধানগুলোর মধ্যে রয়েছে—কেন্দ্রীয় ওয়াক্ফ কাউন্সিল এবং ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোতে দুজন অমুসলিম সদস্যের বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি। এ ছাড়া, আরেকটি শর্ত হলো, কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিরাই ওয়াক্ফে সম্পত্তি দান করতে পারবেন।

ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য রাখার বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছে ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়। বিতর্কের শুরুতে বিজেপি সরকারের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজ্জু বিতর্কের শুরুতেই অস্বীকার করেন যে, বিলটি মুসলিম স্বার্থের ক্ষতি করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওয়াক্ফ বোর্ডের ব্যবস্থাপনায়, সৃষ্টিতে এবং সুবিধাভোগীতে অমুসলিমদের কোনো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এগুলো সম্পূর্ণরূপে মুসলিমদের জন্যই থাকবে।

এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘ওয়াক্ফ বোর্ডে দুজন অমুসলিম সদস্যের প্রয়োজন কেন? তিরুপতিতে কি আপনারা কোনো মুসলিম রেখেছেন? রাম মন্দির ট্রাস্টে কি কোনো মুসলিম সদস্য আছেন? মুসলিমদের তো বাদই দিন, আমার মতো কোনো দলিত হিন্দুকেও সেখানে রাখবেন না।’

খাড়গের কথা প্রতিধ্বনিত করেন অল ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (এআইএমআইএম) নেতা ইমতিয়াজ জলিল। তিনি বলেন, ‘যদি ওয়াক্ফ বোর্ডে অমুসলিমদের নিয়োগ করা হয়, তাহলে কি শিরডি সাইবাবা (মন্দির) ট্রাস্ট বা তিরুপতি মন্দির ট্রাস্টে ইমতিয়াজ জলিলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে? যদি শিখ সম্প্রদায়ের জন্য এমন কোনো বোর্ড তৈরি হয়, তাহলে কোনো অ-শিখকে নিয়োগ করা যাবে না। তাহলে ওয়াক্ফ বোর্ডের ক্ষেত্রেই কেন এমন নিয়ম?’

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, ওয়াক্ফ হিসেবে চিহ্নিত সরকারি সম্পত্তি সরকারের মালিকানাধীন থাকবে না এবং স্থানীয় কালেক্টর এর মালিকানা নির্ধারণ করবেন। বিলে আরও প্রস্তাব করা হয়েছে, কালেক্টরের পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা ওয়াক্ফ হিসেবে দাবি করা সরকারি সম্পত্তির তদন্ত করবেন।

বিরোধের ক্ষেত্রে একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে যে কোনো সম্পত্তি ওয়াক্ফের নাকি সরকারের। এটি বিদ্যমান ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে, যেখানে ওয়াক্ফ ট্রাইব্যুনাল এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিত। বিরোধী দল এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ এটিকে ওয়াক্ফ সম্পত্তির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাখ্যা করছে।

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি

অবসরের আগে ফরমায়েশি রায়, বিচারকদের অসততায় উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধান বিচারপতি

মুসলিম স্ত্রীকে নিয়ে বিবাদ, ভারতে বাবা-মাকে মেরে খণ্ডিত দেহ নদীতে ফেলল ছেলে

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

নিকাব বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির নেত্রীর থানায় অভিযোগ

নিকাব বিতর্ক: বিহারের নীতীশের পক্ষে সাফাই গাইলেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও বাংলাদেশ নেই, একাত্তরে সীমান্ত রক্ষায় ‘ভারতীয় বীর’দের শ্রদ্ধা

ইমরানকে বন্দী করে সাংবিধানিক ক্যুর মাধ্যমে আজীবন দায়মুক্তি নিয়েছেন সেনাপ্রধান: ভারতীয় রাষ্ট্রদূত