হোম > অপরাধ > ভারত

বিখ্যাত হতে চাওয়া কেজিএফ ভক্ত যখন সিরিয়াল কিলার

একে একে চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে ঘুমের মধ্যে খুন করেছেন তিনি। সম্প্রতি সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে হত্যার দৃশ্য ধরা পড়েছে। পুলিশের সূত্র দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিব প্রসাদ (১৯) নামে ওই তরুণ মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা। তিনি ব্লকবাস্টার দক্ষিণী সিনেমা কেজিএফ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বিখ্যাত হতে চেয়েছিলেন।

আজ শুক্রবার সকালে ভোপাল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর খুনের শিকার একজনের কাছ থেকে চুরি করা মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাঁকে ধরা হয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজে খুনিকে শর্টস ও শার্ট পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি এক ব্যক্তিকে উপর্যুপরি আঘাত করছেন। এরপর পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করেন। এই দৃশ্য কেউ দেখেনি সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।

পুলিশ কর্মকর্তা তরুণ নায়েক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ওই তরুণ সব সময় শেষ রাতের দিকে খুন করতেন। কেজিএফ সিনেমা দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তুমুল জনপ্রিয় এই কন্নড় চলচ্চিত্রের মূল গল্পই একজন আততায়ীকে কেন্দ্র করে। পুলিশ কর্মকর্তা নায়েক বলেন, এরপর পুলিশকে টার্গেট করার পরিকল্পনা করেছিলেন ওই তরুণ।

সাগর এলাকায় শিব প্রসাদ তিন রাতে তিনজন নিরাপত্তারক্ষীকে হত্যা করেন। সর্বশেষ গত রাতে ভোপালে একজনকে হত্যা করেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিখ্যাত হওয়া, তাই শুধু ঘুমন্ত নিরাপত্তারক্ষীদের টার্গেট করতেন।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘এটি একটা ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড ছিল। সে তার দ্বিতীয় বা তৃতীয় শিকারের মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে ভোপালে ধরা হয়।’

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি মার্বেল রড দিয়ে সোনু ভার্মা (২৩) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন শিব প্রসাদ। সোনু ভার্মা মার্বেলের দোকানের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভোপাল থেকে ১৬৯ কিলোমিটার দূরে সাগর এলাকায় শিব প্রসাদ তাঁর মিশন শুরু করেছিলেন।

এর আগে কল্যাণ লোধি নামে এক কারখানার গার্ডকে গত ২৮ আগস্ট হত্যা করা হয়। তাঁর মাথা হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়। পরের দিন রাতে একটি আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজের ৬০ বছর বয়সী নিরাপত্তারক্ষী শম্ভু নারায়ণ দুবেকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। পরদিন একটি বাড়ির প্রহরী মঙ্গল আহিরওয়ারকে হত্যা করেন শিব প্রসাদ।

পরপর এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং টহল জোরদার করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় এক ব্যক্তিকে হত্যাকারী বলে সন্দেহ করা হয়। এরপরই পুলিশ ওই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

ভারতীয়দের বিরুদ্ধে এইচ-১বি ভিসায় ব্যাপক জালিয়াতি ও ঘুষের অভিযোগ

বর্তমান বাংলাদেশ একাত্তরের পর সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ: ভারতের সংসদীয় কমিটি

অবসরের আগে ফরমায়েশি রায়, বিচারকদের অসততায় উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধান বিচারপতি

মুসলিম স্ত্রীকে নিয়ে বিবাদ, ভারতে বাবা-মাকে মেরে খণ্ডিত দেহ নদীতে ফেলল ছেলে

আমরা চুপ থাকব না, উচিত শিক্ষা দেব—সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হাসনাতের হুমকির জবাবে হিমন্ত

নিকাব বিতর্ক: মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির নেত্রীর থানায় অভিযোগ

নিকাব বিতর্ক: বিহারের নীতীশের পক্ষে সাফাই গাইলেন উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও বাংলাদেশ নেই, একাত্তরে সীমান্ত রক্ষায় ‘ভারতীয় বীর’দের শ্রদ্ধা