বাইসাইকেল চুরি করে গ্রামের ভেতর দিয়ে পালাচ্ছিলেন এক যুবক। পথেই সাইকেলের মালিক তাঁকে দেখে ফেলেন। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলেন। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে গণপিটুনি খাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দেন যুবক। দ্রুত পুলিশ চলে আসে। উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে প্রাণে বেঁচে যান চোর।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামে। সাইকেল চোর নয়ন সরকার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আদর্শপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা বলেন, ৯৯৯–এ কল করে নয়ন বলেন, চার-পাঁচজন লোক আমার সাইকেল কেড়ে নিচ্ছে। আমি খুব বিপদে আছি। কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে নয়নকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সাইকেল চুরির কথা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগর থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চার-পাঁচজন লোক সাইকেল কেড়ে নিচ্ছে দাবি করে ৯৯৯-এ কল করেছিলেন নয়ন সরকার। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তিনি দর্শনা থানার বাসিন্দা আশাদুলের সাইকেল চুরি করেছেন বলে স্বীকার করেন।’
উপপরিদর্শক আরও বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি, নয়ন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর থানার চারটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তবে, সাইকেলের মালিক আশাদুল কোনো মামলা না করায় নয়নকে কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
জীবননগর থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল খালেক বলেন, ‘বাইসাইকেল চুরির ঘটনায় নয়নকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কোটচাঁদপুর থানার চারটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাই নয়নকে কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’