খুলনার পাইকগাছায় আদালতের নিষেধ উপেক্ষা করে লিজ নেওয়া ঘেরে মাছ ধরার সময় বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারধরে নারীসহ দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। এর আগে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন ঘেরের মালিক আব্দুল মান্নান গাজী (৬৫) ও স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫২)।
অভিযুক্তরা হলেন সাহেব আলী গাজী (৪০), মো. আনসার গাজী (৪৫), মো. জাহান আলী গাজী (৪৩), মো. আবু বক্কর গাজী (৬০), মো. নুরুজ্জামান গাজী (২৮), মোছা রোজিনা বেগম (৩২), মোছা আন্জুআরা বেগম (৪০), মোছা ফাতেমা বেগত (৩৪) ও মোছা জাহানারা বেগম (৫০)।
জানা গেছে, উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান গাজীর সঙ্গে একই এলাকার সাহেব আলী গাজীর দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী আদালত প্রতিপক্ষ সাহেব আলীর বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। কিন্তু আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাহেব আলী, আনছার গাজী, জাহান আলী গাজী, আবু বক্কর গাজীসহ ১০-১২ জন জোর করে লিজ নেওয়া ঘেরে মাছ ধরতে যান। এ সময় ঘেরের মালিক আব্দুল মান্নান গাজী ও স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাধা দিলে তাঁদের মারধর ও পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পাইকগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুভাস কুমার রায় বলেন, খবর পেয়ে পাইকগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। তবে ঘের থেকে প্রতিপক্ষের পানি সেচ দেওয়া কল জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, জোর করে ঘেরে মাছ ধরার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।