মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা যাওয়ার পর প্রধান আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট দ্বিতীয় দিনেও থামেনি। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার পর বাড়িটির তিন ভাগের দুই ভাগ ভেঙে ফেলে লোকজন। এমনকি বাড়ি থেকে গাছ কেটে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
থানা-পুলিশ বলছে, লোকজন তাঁদের কথা শুনছে না। বেশ কয়েকবার বিক্ষুব্ধ জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তাঁরা কথা শোনেননি।
জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনায় আট দিন গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুটি ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। শিশুটির মৃত্যুর খবর পেয়ে মামলা প্রধান আসামির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত ৮টার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িটির রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর আদা পাকা বাড়িটির ইটের দেয়ালের ইট খুলতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল মুন্সি বলেন, ‘বাড়িটি অভিশপ্ত। ধর্ষকদের বাড়ি। তাই আমরা সবাই গুঁড়িয়ে দিচ্ছি। বাড়িটিতে মারা যাওয়া শিশুর নামে একটি মাদ্রাসা করার দাবি জানাই।’
আজ সরেজমিন দেখা যায়, বাড়িটিতে শুধু ভাঙচুর নয়, গাছও কেটে নিচ্ছে লোকজন। বাড়ির চারপাশে কিছু ছোট আমগাছ কেটে কেউ কেউ নিয়ে যান। বেলা ৩টা পর্যন্ত আসামির বাড়িটি ঘিরে লোকজনের উপস্থিতি ও ভাঙচুর চলতে দেখা যায়।
কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় সুজন মিয়া নামের একজন বলেন, ‘এগুলো পুড়িয়ে রান্না করে খাব। পাপীদের কোনো কিছু রাখা হবে না। সব পুড়িয়ে দেওয়া হবে।’
বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ উদ্বিগ্ন বলে জানান মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী। তিনি মোবাইল ফোন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজকে বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকবার বিক্ষুব্ধ জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তবু তারা কথা শোনেননি।’
এর আগে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৮ বছরের শিশুটির গতকাল এশার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন সম্পন্ন হয়।