কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপজেলার ১৪টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ কিশোর-কিশোরী ক্লাব বাস্তবায়ন প্রকল্পের পরিচালক জয়ন্ত কুমার শিকদার স্বাক্ষরিত পত্রে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কিশোর-কিশোরী ক্লাব বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ক্লাবে গত জানুয়ারি মাসে কোনো নাস্তা দেওয়া হয়নি। সে হিসাবে প্রতিটি ক্লাবে ৩৫ জন করে কিশোর-কিশোরীর নাস্তা বাবদ জনপ্রতি ৩০ টাকা করে সর্বমোট ১ লাখ ১৭ হাজার ৬০০ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। অভিযোগ উপজেলা মহিলা ও শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জেন্ডার প্রমোটাররা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে বারবার বললেও মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা কর্ণপাত করেননি। পরে তাঁরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন নাস্তার টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন কিশোর-কিশোরী ক্লাব বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতাধীন দৌলতপুর উপজেলার ১৪টি ক্লাবে জানুয়ারি-২০২২-এর নাস্তার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি পত্র পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’