ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে হাইকোর্টের নির্দেশে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের শোকজ করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
গতকাল বুধবার সাত কার্যদিবসের শেষ দিনে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন জবাব দিয়েছেন এবং বাকি তিনজন সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান শোকজের জবাব দিয়েছেন। বাকি তিন অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, হালিমা আক্তার ঊর্মী ও ইসরাত জাহান মিম নির্ধারিত সময়ে শোকজের জবাব দেননি। তিনজনই সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে তাঁরা আবেদনে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি ও হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি চেয়েছেন।
এদিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে গত রোববার তাবাসসুম ইসলাম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে বলা হয়, মক্কেলকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ না দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উকিল নোটিশ পেয়ে বিভাগীয় সভাপতি নোটিশটি সংযুক্ত করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি পরীক্ষার বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশে তাবাসসুম ও মুয়াবিয়া একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। যেহেতু তাদের একজন উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে, তাই প্রশাসনের কাছে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সময় বাড়ানোর আবেদন ও পরীক্ষার বিষয়ে আবেদনগুলো ফাইল আকারে ভিসির কাছে পাঠানো হয়েছে। হাইকোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাদের বারবারই বলেছে, হাইকোর্টের বিষয়টি ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত যেন কোনো কার্যক্রম না করি।’
আরও পড়ুন: