বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় সাড়ে তিন বছর বয়সী শিহাব শেখ নামের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার খতনা করার কৌতূহল থেকে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে গত বুধবার রাতে ওই কিশোরের ঘরসংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে।
এ ঘটনায় শিহাবের মা সুমি বেগম বাদী হয়ে ওই কিশোরকে আসামি করে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যার শিকার শিহাব চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের ফরহাদ শেখের ছেলে।
হত্যার কারণ সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার কথা স্বীকার করে গ্রেপ্তার কিশোর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হামিমের মধ্যে সুন্নতে খতনা দেওয়ার কৌতূহল ছিল। এ জন্য সে শিহাবকে বাছাই করে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে, শিহাবকে ডেকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায় ওই কিশোর। শিহাবের হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি কাঁচি দিয়ে সুন্নতে খতনা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং শিহাবের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। একপর্যায়ে শিশু শিহাব অচেতন হয়ে পড়ে শৌচাগারের পাশে রেখে দেয়। সেখানেই শিহাবের মৃত্যু হয় এবং কিশোরটি বাড়ির বাইরে ঘুরতে থাকে।
পুলিশ পরিদর্শক মতরিকুল ইসলাম আরও বলেন, বৃহস্পতিবার বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে শিশু শিহাবের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার কিশোরকে আদালত কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে শিশু শিহাব বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় সেই কিশোর তাকে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরের মধ্যে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু শিহাবকে হত্যা করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে, রাতে মাইকিংও করে স্থানীয়রা। পরে কিশোরের ঘরসংলগ্ন শৌচাগারের পাশ থেকে শিশু শিহাবের লাশ উদ্ধার করা হয়।