বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার বটিয়াঘাটায় পল্লব হালদার (২২) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে পল্লবসহ চারজনের নামে থানায় মামলা করেছেন।
পল্লব হলেন মামলার প্রধান আসামি। অন্য আসামিরা হলেন তাঁর সহযোগী পিয়াস রায়, চিরঞ্জিত রায় ও গোপাল রায়। পল্লবের বাড়ি বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের সুকদাড়া এলাকায়। ওই ছাত্রী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মামলা হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন কুমার সরকার।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘পল্লব হালদারসহ তাঁর সহযোগী পিয়াস রায়, চিরঞ্জিত রায় ও গোপাল রায় আমার মেয়েকে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন বিভিন্ন স্থানে পূজা দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর মেয়ে যখন বাড়ি ফিরে না আসে, তখন আমরা খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায় না। পরদিন ভোরে আমার মেয়ে বাড়িতে আসে।’
ছাত্রীর মা আরও বলেন, ‘সরস্বতী পূজার দিন কোথায় ছিল জানতে চাইলে মেয়ে বলে, “পল্লব আমাকে ডেকে নিয়ে যায় সুকদাড়া উত্তর বিলে। সেখানে সে আমাকে সারা রাত রাখে। পরে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সঙ্গে মেলামেশা করে।”’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পল্লবের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন জানান, পল্লব পলাতক আছেন। এ ঘটনায় তিনি জড়িত আছেন কি না, পরিবারের লোকজন জানেন না।
এ বিষয়ে ওসি রিপন কুমার সরকার বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে চারজনের নামে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর আজ শনিবার সকালে ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।’