Ajker Patrika
হোম > অপরাধ > খুলনা

ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় বাদীর কারাদণ্ড

মেহেরপুর প্রতিনিধি

ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় বাদীর কারাদণ্ড

ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদী ডালিয়া নাসরিনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলের মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত ডালিয়া নাসরিন গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের আবুল কালাম ও ডালিয়া নাসরিনের পরিবারের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে। ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আবুল কালাম ডালিয়া নাসরিনসহ মহাসিন আলী, জামেলা খাতুন, শহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৭ ধারায় এই ট্রাইব্যুনালে নালিশি দরখাস্ত দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাঁর বাড়ি ও আসামিদের বাড়ি পাশাপাশি। তাঁর মেয়ে কাকলিকে মারধর করার কারণে কাকলি গাংনী থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নম্বর ২৩১ / ২০১৬। 

ওই মামলায় আসামি ডালিয়া নাসরিন জামিন পাওয়ার পর আবুল কালামসহ একই গ্রামের লাল মিয়া ও শাকিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৭ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ২৯৫ / ২০১৬। ডালিয়া নাসরিনের দায়েরকৃত ধর্ষণের চেষ্টার মামলাটি তদন্ত করে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনটি ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গৃহীত হয়। ট্রাইব্যুনাল আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন। একই সঙ্গে উক্ত মামলার অভিযোগকারী তথা মামলার বাদীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করার অনুমতি প্রদান করেন। 

এ মামলায় ডালিয়া নাসরিন আসামি ও অভিযোগকারী হন আবুল কালাম। ওই মামলায় মোট ৫ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে ডালিয়া নাসরিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ১৭ ধারায় গঠিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাঁকে উক্ত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড এ. কে. এম আসাদুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাড কামরুল হাসান কৌশলী। 

চার দিনেও চেতনা ফেরেনি শিশুটির

নারী নির্যাতন রোধে খুবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ–বিক্ষোভ

দেশ সংস্কারের আগে নিজেকে সংস্কার করতে হবে: স্নিগ্ধ

যশোরে বাসচাপায় নছিমনচালক নিহত

খুবির প্রধান ফটকে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণ’ উদ্বোধন

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালত চত্বর ছেড়ে দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছাত্র-জনতার

ছিনতাইকারী ধরে জুতার মালা পরাল জনতা

কোটচাঁদপুরে বিষ দিয়ে শিশুকে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেপ্তার

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

‘মেয়ের শ্বশুরবাড়ির ছাওয়ালগুলোর চরিত্র ভালো না, আমরা জানতাম না’