বরিশালের আগৈলঝাড়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে তাঁর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে রণজিত মধু (২৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক মো. গোলাম ছরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এজাহারের বরাত দিয়ে আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, উপজেলার দক্ষিণ বড়মগড়া গ্রামের রমেশ মধুর বখাটে ছেলে রণজিত মধু ঢাকায় নার্সিং দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া স্থানীয় এক ছাত্রীকে (১৯) বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাবসহ প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দুই বছর আগে রণজিতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সুযোগে বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং গোপনে তা নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাতে বাড়ির পাশের একটি পানের বরজে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন রণজিত। কিছুদিন আগে রণজিত মধু অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপরও তিনি নার্সিং পড়ুয়া প্রেমিকাকে আগের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করলে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন।
বিষয়টি ওই ছাত্রী রণজিত ও তাঁর অভিভাবকদের জানালে তাঁরা ওই ছাত্রীকে অন্যত্র বিয়ে করতে বলেন। ছাত্রীর অভিভাবকেরা ভারতে অবস্থানরত সুমন সরকার নামের এক ছেলের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়েও ঠিক করেন।এদিকে ওই ছাত্রীর বিয়ে পাকা হওয়ার খবর জানতে পেরে ছাত্রীর ছবি দিয়ে “ভোরের পাখি” নামে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খোলেন রণজিত। ওই ভুয়া আইডির মাধ্যমে ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হওয়া সুমন সরকারকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। সুমন “ভোরের পাখি”র রিকোয়েস্ট গ্রহণ না করলেও রণজিত তাঁর মেসেঞ্জারে ওই ছাত্রীর সঙ্গে রণজিতের আগে ধারণ করা অশ্লীল ভিডিও সুমনকে পাঠান। সুমন ‘ভোরের পাখি’র পাঠানো ভিডিও এবং অশ্লীল ছবি ওই ছাত্রীকে প্রেরণ করলে বিষয়টি ওই ছাত্রী জানতে পারেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় রণজিত মধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৫।