খুলনায় দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সোহাগ পাটোয়ারী নামে (৩১) এক যুবক নিহত হয়েছেন। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর ৪ নম্বর কাশেম সড়ক সবুজপল্লী এলাকার প্রধান সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. সোহাগ পাটোয়ারী ওই এলাকার আব্দুল মালেক পাটোয়ারীর ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক।
লবণচরা থানার ওসি এনামুল হক বলেন, ‘সোমবার রাত ১২টার দিকে ফোন করে সোহাগকে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। পরে সবুজপল্লী প্রধান সড়কের পাশে পৌঁছামাত্র ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা সোহাগের শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি এনামুল হক আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মালেক, আসিফ ও সোহাগ নামে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহত সোহাগ পাটোয়ারীর ভাই সোহেল পাটোয়ারী দুপুরে বাদী হয়ে লবণচরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডে চারজন উপস্থিত ছিল। তাদের সকলকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন সোহাগকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয়। বাকি তিনজন সোহাগের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাত ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা পালিয়ে যায়।