সাতক্ষীরার তালায় প্রশাসনের তৎপরতায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪)। এ সময় কনের বাবাকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বাইক থেকে লাফিয়ে পালিয়েছে বর।
আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া শারমিন।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন ছিল আজ দুপুরে। বর ফয়সাল শেখও অপ্রাপ্তবয়স্ক। তিনি দোহার গ্রামের মনিরউদ্দিন শেখের ছেলে ও শালিখা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাল্য বিবাহের খবরে সামাজিক সংগঠন, পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করাসহ ছাত্রীর বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এদিকে বর পালিয়ে যাওয়া তাঁকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অপরদিকে একইদিনে উপজেলার সরুলিয়া ইউনিয়নে আরেকটি বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। ঘটনাস্থলে হাজির হন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সাবেক জেন্ডার প্রমোটার অপর্না দাস, আবৃত্তি শিক্ষক টুপ্পা বিশ্বাস, গ্রাম পুলিশ ও পাটকেলঘাটা থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় ওই মেয়ের বাবা মুচলেকা দিতে রাজি হয়েছেন। আগামী রোববার তাঁকে তালা ইউএনওর কার্যালয়ে হাজির করা হবে বলে জানা গেছে।