সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজাম উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে তাঁদের আটক করে কলারোয়া থানার পুলিশ।
ব্যবসায়ী নিজাম (৫৫) কাজীরহাট গোয়ালচাতর সরদারপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কাজীরহাট বাসস্ট্যান্ডে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন তহমিনা খাতুন ও তাঁর ছেলে সুমন হোসেন (২০), তহমিনার ভাশুর আব্দুল মাজেদ (৫৫) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুর রহমান (২১)।
পুলিশ, পরিবার ও বাজারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, নিজাম উদ্দীন মঙ্গলবার গভীর রাতে কাজীরহাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তহমিনা খাতুনের বাড়িতে গেলে তাঁর ছেলে, ভাশুর ও ভাশুরের ছেলে নিজামকে আটক করেন। তাঁরা নিজামকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করেন।
নিজামের ছেলে গোলাম রসুল বলেন, ‘রাতে বাড়িতে ফেরার সময় বাবার কাছে অনেক টাকা থাকে। পরিকল্পিতভাবে গভীর রাতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও পানিতে ডুবিয়ে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
জেলা পুলিশের সার্কেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, বিকাশে টাকা লেনদেনের সুবাদে নিজামের সঙ্গে প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রী তহমিনার ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইলে ফোন করে ওই নারীর বাড়িতে যান নিজাম। এ সময় তাঁর ছেলে সুমন, সুমনের চাচাতো ভাই মোমিনুর, চাচা আব্দুল মাজেদ নিজাম উদ্দীনকে ধাওয়া দেন। এতে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যান নিজাম। তিনি এর আগে একবার স্ট্রোক করেছিলেন, যে কারণে অতিরিক্ত মানসিক চাপে সেখানে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।