সুন্দরবনের অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিয়ে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে বন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী আটজনকে আসামি করে থানায় মামলাটি করেন। পরে এজাহারভুক্ত আসামি মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার ঘটনায় মো. জসিম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোটের চালক সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত হন।
এ বিষয়ে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুন্দরবনের আলীবান্দা এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে খুড়িয়াখালী (শরণখোলা) বাজার নামক স্থানে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০–১২ জন আমাদের পথরোধ করে। অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দাবি করে এবং এসিএফ অন্যদের অভয়াশ্রমে মাছ ধরার সুযোগ দেয় বলে অভিযোগ করেন।
এ সময় অভয়াশ্রম মাছ ধরার অনুমতি দিতে না চাইলে তাঁরা বনরক্ষীদের ওপর হামলা চালান। এতে এসিএফ শেখ মাহাবুব হাসানসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। নুরুল করিম বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে।’
তবে বন বিভাগের অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসিএফ মূলত টাকার বিনিময়ে অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে আসছেন। এতে সাধারণ জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে জানালে এসিএফ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের একজনকে ধাক্কা মারেন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আমাদেরও একজন আহত হয়েছে।’