চুয়াডাঙ্গায় চুরির অপবাদ দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার দুপুরে সদর উপজেলার এই ঘটনা ঘটে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আজ সোমবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
প্রায় আধা ঘণ্টা বেঁধে রেখে নির্যাতনের এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে, অভিযুক্ত ‘মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউস’এর মালিক পক্ষ দাবি করেছেন, টাকা চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরেই ওই শিশুকে বেঁধে রাখা হয়।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু জানায়, টিফিনে খাবার কিনতে ওই দোকানে যায় সে। একপর্যায়ে তাকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানের সামনে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন ওই দোকানের মালিক রোমানা খাতুন। এরপর তাঁকে মারধরও করেন তিনি। পরে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসে তাঁকে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোমিন হোসেন বলেন, ‘দুপুরে ঘটনাটি শুনে আমি দোকানে গিয়ে ওই ছাত্রকে মুক্ত করে আনি। ছেলেটি বলে-মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে তার দেহ তল্লাশি করেও নাকি কোনো টাকা পাওয়া যায়নি। একজন দোকানদার টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এভাবে একটা শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন করবেন আমি ভাবতেও পারি না।’
দোকান মালিক আলী আহমেদের মেয়ে রোমানা খাতুন বলেন, ‘আমি নিজে টাকাসহ ওই ছাত্রকে ধরেছি। তাই তাঁকে বেঁধে সামান্য শাস্তি দিয়েছি, যেন কেউ চুরির মতো অপরাধ করতে না পারে।’
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’