যশোরে বিয়ের নামে বহু নারীকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর থেকে তাঁদের আটক করে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল।
আটক ব্যক্তিরা হলেন প্রতারক চক্রের প্রধান মিজানুর রহমান গাজি (৩৫) ও তাঁর দুই সহযোগী ইবরাহিম ওরফে কালু ঘটক (৪৫) ও মকবুল গাজি (৪০)। মিজানুর রহমান জেলার মনিরামপুর উপজেলার মোনসেবপুর, মকবুল গাজি হরিদাশ কাঠি এবং কালু ঘটক খেদাপাড়া মাঝিলি গ্রামের বাসিন্দা।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) বি এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রতারক চক্রটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের যেসব বিত্তশালী পরিবারের বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে, সেগুলো খুঁজে ওই মেয়ের পরিবারের মোবাইল নম্বর জোগাড় করত। আর নিজের কণ্ঠ পরিবর্তন করে মেয়েদের পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে বিশ্বাস এবং সম্পর্ক তৈরি করত প্রতারক চক্রের প্রধান মিজানুর গাজি। সে কখনো নিজেকে সেনাসদস্য, কখনো বিজিবি, কখনো পুলিশ আবার ব্যবসায়ী পরিচয়ও দেয়। মোবাইলে আলোচনা করে বিয়ে প্রায় ঠিকঠাক এমন সময় বিপদে পড়েছে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে বলে যার কাছ থেকে যা পারত নগদ টাকা হাতিয়ে নিত। এই প্রতারণার কাজে সব ধরনের সহযোগিতায় ছিল কালু ঘটক ও মকবুল।’
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, প্রতারক চক্রটি এ পর্যন্ত ২৪-২৫টি পরিবারের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের একটি পরিবারের কাছ থেকে একই কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এমন অভিযোগ পেয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রটিকে ধরা হয়েছে।
ওসি জানান, এ বিষয়ে থানায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।