ময়মনসিংহের ফুলপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়ে প্রেম করেন সোলাইমান কবির (৩০) নামের এক ব্যক্তি। তারপর তাঁদের সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। একপর্যায়ে সোলাইমান কবিরকে মেয়ের পরিবার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাদের বাড়িতে আসতে বলে। বিয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সোলাইমানও গত সোমবার ওই গ্রামে আসেন। বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করতে তাঁরা যখন আলোচনায় বসেন, তখন মেয়ের পরিবারের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলেন না ওই যুবক। তাঁর কথাবার্তার একপর্যায়ে মেয়ের পরিবার বুঝতে পারে তিনি একজন ভুয়া পুলিশ সুপার। এরপর ওই দিন দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।
পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। সোলাইমান কবির শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার কুচানপাড়া গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোলাইমান কবিরের সঙ্গে ফুলপুর উপজেলার রূপসী গ্রামের এক মেয়ের ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। ওই মেয়ে শেরপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। সোলাইমান নিজেকে ৪০তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরি পেয়েছেন বলে ওই মেয়েকে জানান। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে সোলাইমান মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি প্রথমে তাঁর প্রতারণা বুঝতে না পেরে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি তার পরিবারকে বলেন। পরে সোলাইমান কবিরকে মেয়ের পরিবার ফোন করে একা মেয়ের বাড়িতে আসতে বলেন। সোলাইমান বিয়ে করতে ওই গ্রামে এলে মেয়ের পরিবার বিভিন্ন প্রশ্ন করে। এতে তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রূপসী এলাকা থেকে রাতে ফোন করে বলা হয়, তাদের এলাকায় একজন ভুয়া এএসপিকে আটক করা হয়েছে। পরে পুলিশ পাঠিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় সোলাইমানের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহৃত সরকারি বুট জুতা, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ময়মনসিংহ আদালতে তোলা হলে বিচারকের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।