দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার চরমোক্তারপাড়া এলাকায় বাসায় কাজের জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে (১৮) জোর করে আটকে রেখে দেহব্যবসা করানোর অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে একজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেছেন।
পরে পুলিশ চরমোক্তারপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনকে (৪৩) গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এক বছর আগে ভুক্তভোগী তরুণী পিতার সময়ে ঝগড়া করে ঢাকায় চলে আসে। এরপর ঢাকায় এসে মিতু আক্তার নামে একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এবং সে সুবাদে তাঁর বাসায় থাকে। গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ মামলার অভিযুক্ত ফাতেমা খাতুন মিতু আক্তারকে জানায় বাসায় কাজের জন্য একজন মেয়ে দরকার এবং তাঁকে মোটা অঙ্কের বেতন দেওয়া হবে। এ কথা শুনে মিতু আক্তার তরুণীকে দুর্গাপুর নিয়ে আসে। এরপর ফাতেমা আক্তার তরুণীকে পতিতাবৃত্তি করার কথা বলে কিন্তু এই প্রস্তাবে তরুণী রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট সহ নানা রকম নির্যাতন করে। একপর্যায়ে তরুণী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ পেশায় নামতে রাজি হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে ফাতেমা আক্তার তরুণীকে সাজগোজ করতে বলে কিন্তু সে রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে তরুণী দৌড় দিয়ে অভিযুক্তর বাড়ি হতে পালিয়ে যায়। এরপর তরুণী পৌর শহরের মজিবনগর এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। স্থানীয়রা বিষয়টি শুনে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তরুণীকে থানায় নিয়ে আসে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা আক্তার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ পতিতালয় পরিচালনা করে আসছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়ে এনে এই ব্যবসা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনুর-এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই তরুণীর অভিযোগ আমলে নিয়ে রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার অভিযুক্ত ফাতেমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।