অনলাইন ডেস্ক
অস্ত্রোপচারের নামে শত শত রোগীর কিডনি চুরির অভিযোগে একটি চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। গত ৯ অক্টোবর পুলিশ জানায়, চক্রটি রোগীর কিডনি চুরি করে প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় থাকা ধনী রোগীদের বিক্রি করে।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি বলেন, এ চক্রটির নেতা ডাক্তার ফাওয়াদের বিরুদ্ধে ৩২৮টি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কিডনি চুরি এবং প্রতিটি ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপিতে (৩৪ হাজার ডলার) বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
নাকভি বলেন, অস্ত্রোপচারে ফাওয়াদকে সাহায্য করতেন এক গাড়ি মেরামতকারী। তিনি রোগীকে অ্যানেসথেসিয়া দিতেন। চক্রটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের তাকশিলাতে নিয়ে আসত এবং গোপনে তাঁদের অস্ত্রোপচার করত। তাকশিলা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের একটি শহর।
নাকভি আরও বলেন, ‘তাঁরা কাশ্মীরে এ কাজ করতে পারত কারণ সেখানে কিডনি প্রতিস্থাপন নিয়ে কোনো আইন নেই। তাই সেখানে অস্ত্রোপচার করা তাঁদের জন্য সহজ।’
মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনো এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগেও ফাওয়াদকে পাঁচবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই তিনি ছাড়া পেয়ে যান এবং কিডনি চুরির কাজ চালিয়ে যান। যাদের কিডনি চুরি করা হয়েছে তাঁদের অনেকেই জানেন না যে, তাঁদের একটা কিডনি নেই।
প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ প্রায় দুই মাস ধরে এ মামলার তদন্ত করার পর এক ব্যক্তি এসে বলেন, তাঁকে এ চক্রটির এক সদস্য গোপনে চিকিৎসা করানোর জন্য রাজি করায়। পরে আরেক চিকিৎসকের কাছে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য গেলে তিনি জানতে পারেন তাঁর একটি কিডনি নেই।