বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ার গাবতলীতে মোবাশ্বের হোসেন (১২) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে গাবতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের শিক্ষার্থী চাচাতো ভাই নাবিল আহম্মেদকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিক ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোবাশ্বের হোসেন নাড়ুয়ামালা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের প্রতিবেশী ও গবাতলী উপজেলার নাড়ুয়ামালা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন বলেন, মোবাশ্বের হোসেনের হার্টে ফুটো থাকায় কয়েক দিন আগে অপারেশন করে আনা হয়। এ কারণে মোবাশ্বের বাড়ি থেকে বের হতো না। সোমবার মোবাশ্বের বিছানায় শুয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের মোবাইল ফোন নিয়ে খেলছিল। না বলে ফোন নেওয়ার কারণে তার চাচাত ভাই নাবিল আহম্মেদ মোবাশ্বেরকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, নাবিল মানসিক রোগী। সে ওই বাড়িতেই থাকে। ঘটনার পর পালিয়ে না গিয়ে বাড়িতেই ঘোরাঘুরি করছিল। পরিবারের লোকজন ঘটনাটি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নাবিলকে পুলিশের সামনেই ছিল। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গাবতলী মডেল থানার ওসি আশিক ইকবাল বলেন, ‘স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছে নাবিল দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক রোগী। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নাবিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি।’