নাটোরের সিংড়ায় এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে ১২ ও ১১ বছরের দুই কিশোরকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডকালীন তাদের শিশু সংশোধনাগারে থাকতে হবে। এক কিশোর মামলার পর থেকেই পলাতক। অন্যজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পাড়িল গ্রামে মাঠের মধ্যে ভুট্টা খেতে নিয়ে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুই কিশোর। ১ এপ্রিল ওই কিশোরীর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সিংড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। পুলিশ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৭ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।
নাটোর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, একই সঙ্গে অভিযুক্ত দুজনকে নাবালক হওয়ায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। অপরজন ২০১৭ সাল থেকে কারা ভোগ করায় এই সময় আটকাদেশের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।