নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কবির হোসেন (৩১) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কবির পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবারের দাবি, পরকীয়ার জেরে তাঁকে হত্যা কারা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সলইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রিপা খাতুন (২৭)। তাঁর বাবার বাড়ি রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায়।
নিহতের বড় ভাই মুশিকুল ইসলাম বলেন, ‘১১ বছর আগে বোনকে বিয়ে দিই কবিরের সঙ্গে। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। প্রায় আট মাস আগে থেকে ভগ্নিপতি পরকীয়ার জেরে বোনকে মাঝেমধ্যেই নির্যাতন করত। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল বোনকে মারপিট করে।’
মুশিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার বোন গতকাল মারপিটের কথা ফোন করে বলেছিল। এ সময় সে আরও বলে, “এই জ্বালা আর সহ্য করতে পারছি না।” আজকেই আমাদের বাড়িতে চলে আসবে বলে জানিয়েছিল। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত না এলে বোনকে ফোন করি। তখন প্রতিবেশী এক নারী কল ধরে বলেন, তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্রুত আসতে। সেখানে গেলে বোনকে মৃত দেখতে পাই।’
অন্তঃসত্ত্বা বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন মুশিকুল ইসলাম।
বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা রিতা হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের ঘাড়ের ডান পাশে কালো দাগ রয়েছে, যা আঘাতের চিহ্ন বলে মনে হয়েছে।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন।