বগুড়া প্রতিনিধি
ফসলের মাঠে গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে চিরকুট ফেলে যায় একটি চক্র। সেই চিরকুটে লেখা থাকে একটি মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটার ফেরত দেওয়ার শর্তে টাকা চাওয়া হয়। বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরই বলে দেওয়া হয় মিটার কোথায় আছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এই চক্রের মূল হোতা আক্কাস আলীকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি কাহালু উপজেলার মৃত আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে। মিটার চুরির পর কথা বলা এবং আর্থিক লেনদেন করার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে আক্কাসকে গ্রেপ্তার করে নন্দীগ্রাম থানা-পুলিশ।
আজ শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নন্দীগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসআই জিয়াউর রহমান জানান, আক্কাস আলী সহযোগীদের নিয়ে বগুড়া সদর, কাহালু, নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর ও নাটোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সেচপাম্পের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে আশপাশে লুকিয়ে রাখেন। তাঁরা একটি মোবাইল নম্বর লিখে ঘটনাস্থলে চিরকুট ফেলে যান। ভুক্তভোগীরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে চক্রের সদস্যরা জানান, তাঁদের চাহিদামতো টাকা না পাঠালে চুরি করা মিটার তাঁরা ভেঙে ফেলবেন। ভুক্তভোগী টাকা পাঠালে চুরি যাওয়া মিটার কোথায় আছে, সেটি তাঁরা বলে দেন।
সম্প্রতি নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চামটা মৌজার পুনাইল পূর্ব মাঠে অবস্থিত বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী মণ্ডলের গভীর নলকূপের মিটার ও ইউসুফ আলী কাজীর মিটার চুরি যায়। সংঘবদ্ধ চক্র নলকূপের দরজার সঙ্গে মোবাইল নম্বর লেখা চিরকুট সেঁটে দিয়ে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগের পর নগদের মাধ্যমে ৭ হাজার টাকা পাঠানোর পর তাঁদের তথ্য অনুযায়ী সরিষাখেতে লুকানো অবস্থায় মিটার দুটি পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম আলী থানায় মামলা করেন। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ গতকাল আক্কাস আলীকে গ্রেপ্তার করে।