জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ধুনট গ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে কালাই থানায় হত্যা মামলা করেন গৃহবধূর বড় ভাই মনজুর আলম। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এজাহার নামীয় আসামি মৃত. আব্দুল হাকিমের ছেলে ছাদেক আলীকে (৬০) গ্রেপ্তার করে থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ছাদেক আলী ও গৃহবধূ বিলকিছ বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। কলহের জের ধরে গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে স্বামী ছাদেক আলী কৌশলে তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তাঁদের পুকুরপাড়ে নিয়ে যান। এ সময় পুকুরে ডুবিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি। এ সময় পুকুরে গৃহবধূকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে রাতে মরদেহ নিয়ে যায় কালাই থানার পুলিশ।
মামলার বাদী গৃহবধূর বড় ভাই মনজুর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমার বোনের সঙ্গে ভগ্নিপতির দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুনট গ্রাম থেকে এক আত্মীয় ফোনে জানান আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি পরিকল্পিতভাবে পুকুরে পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরোধে আমার বোনকে হত্যা করেছেন ছাদেক আলী।'
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম মালিক আজকের পত্রিকাকে জানান, উপজেলার ধুনট গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী শ্বাসরুদ্ধ করে গৃহবধূকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় মামলা রুজু হয়েছে, মামলা তদন্তাধীন।