বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ছুরিকাহত শিক্ষার্থী মেহেরাজ হোসেন ফাহিম (২৬) মারা গেছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
শজিমেকের অধ্যক্ষ রেজাউল আলম জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ তারিখ থেকে ২৭ তারিক পর্যন্ত ফাহিমকে শজিমেকেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ২৮ তারিখে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
নিহত ফাহিম শজিমেকের ২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। ঢাকার সবুজবাগ এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে ফাহিম।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারীর (৫৫) ছেলে শাকিল ব্যাপারীকে (২৫) গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের সামনের লিংক রোডে ফুটপাতে ঝালমুড়ি বিক্রি করছিলেন ফরিদ ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে শাকিল। তাঁদের কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে খাচ্ছিলেন ফাহিম। ঝালমুড়ি খেতে ভালো না লাগায় তিনি ঝালমুড়ির প্যাকেট দিয়ে বিক্রেতা ফরিদের মাথায় আঘাত করেন। এ সময় ফরিদের পাশে থাকা তাঁর ছেলে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে পেঁয়াজ কাটা ছুরি দিয়ে ফাহিমের পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান।
পরে ফাহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর বন্ধুরা। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। তারা ঘটনার বিচারের দাবির পাশাপাশি ফুটপাত থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি জানান।