রংপুরের বদরগঞ্জে স্বামীর হাত-পা বেঁধে স্ত্রীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত মিলন হোসেন (২৪) ও মোস্তাকিম (২৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানায় দায়ের করা মামলা ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী (২২) দিনমজুর। শুক্রবার রাতের খাবার শেষে ২০ মাসের সন্তানসহ স্বামীকে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান ওই গৃহবধূ। বাড়ির আরেক ঘরে ঘুমান শ্বশুর-শাশুড়ি। রাত ১২টার দিকে জানালা ভেঙে গৃহবধূর ঘরে ঢোকে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর স্বামীর হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। মুখে লাগানো হয় স্কচটেপ। এরপর ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তখনো পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি। শনিবার ভোরে পরিবারের চারজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গৃহবধূর শাশুড়ি অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ভাত খাওয়ার পর পরিবারের সবারই মাথা ঢুলতে থাকে। এরপর ঘরে অচেতন হয়ে পড়ি। বাড়িতে এত কিছু হয়ে গেল কিছুই বলতে পরি না।’ তাঁর ধারণা, ভাতের মধ্যে কিছু একটা দেওয়া হয়েছিল।
বদরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘ওই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগটি নথিভুক্ত করে মিলন ও মোস্তাকিম নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।’
নুর আলম বলেন, ‘ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে জেনেছি। তার আগেই গৃহবধূর বাবা তাঁকে বদরগঞ্জ হাসপাতাল থেকে নিয়ে দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। সেখানে ওই গৃহবধূ চিকিৎসাধীন।’