লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝাড়ুমিছিল করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ গেটে এই ঝাড়ুমিছিল হয়। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ গেটে মানববন্ধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের অনুসারীরা। মানববন্ধন শেষে আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর গ্রেপ্তার দাবিতে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সমর্থকেরা একটি পাল্টা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শেষ হওয়ার পর দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মফিজার রহমান, আছিয়া বেগম, নূরল আমিন, মোহন, রকি প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুনের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না। লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’
হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন বলেন, ‘বাচ্চু, মিরু, জেসমিন, তাঁর স্বামী রাজন আমার ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটি নথিভুক্ত করতে গড়িমসি করে। পরে আমি আদালতে অভিযোগ করলে আদালত মামলা নথিভুক্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। সেই মামলায় অনেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।’
মোবাইল ফোনে আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বাচ্চুকে গ্রেপ্তার না করার কারণ জানতে চাইলে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সংযোগ কেটে ফোন বন্ধ করে দেন। তাঁর সঙ্গে পরে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ও আনোয়ার হোসেন মিরুর কাছে প্রকল্পের হিসাব চান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মশিউর রহমান মামুন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার একে অপরের ওপর হামলার অভিযোগ এনে মামলা করেন।