চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী-বহুল প্রচলিত প্রবাদটি আবার সত্য প্রমাণিত হলো। ডোমার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সততা স্টোর থেকেও চুরি গেল মালামাল। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিতে রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় সততা স্টোর ও বিজ্ঞানাগার থেকে দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি গেছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সততা স্টোরের ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত প্রায় ৭ হাজার টাকা, বিজ্ঞানাগারের চারটি অনুবিক্ষণ যন্ত্র, গ্যাস জার, এক শটি রক্ত পরীক্ষা করার স্লাব, একটি পরিমাপক যন্ত্রসহ বেশ কিছু মূল্যবান মালামাল চুরি হয়।
বিদ্যালয়ের নৈশ্যপ্রহরী লেবু ইসলাম বলেন, রোববার রাতে কয়েকবার বিদ্যালয়ের চারিদিকে হাঁটাহাটি করি। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ করে শরীরটা খারাপ বোধ হওয়ায় ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পেছন দিয়ে দরজা বন্ধ থাকায় আরেকটি দরজা দিয়ে বের হই। এ সময় সততা স্টোর ও বিজ্ঞানাগার কক্ষ দুটির তালা ভাঙা দেখতে পাই। ভেতরে গিয়ে দেখি সততা স্টোরের ক্যাশ বাক্সের তালা ভাঙা। সেখানে কোনো টাকা ছিল না। বিজ্ঞানাগারের অনেক যন্ত্রপাতিও খোয়া যাওয়া দেখতে পাই। দ্রুত স্যারদের খবর দেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম জানান, বিষয়টি পুলিশ ও ম্যানেজিং কমিটিকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে তদন্ত করেছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান সুমন জানান, চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকালে ম্যানেজিং কমিটির সভা করা হয়েছে।
ডোমার থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।