রংপুরের বদরগঞ্জে বিথী আক্তার বৃষ্টি (১৭) নামে এক তরুণীর শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শোয়ার ঘরের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তরুণীর স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।
নিহত পারিবারের দাবি, যৌতুকের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশেরও।
বৃষ্টি উপজেলার কাঁচাবাড়ি খামারপাড়া গ্রামের বুলবুল আহম্মেদ বুলুর মেয়ে।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসী বলছে, পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের সোটাপীর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে লিটন মিয়ার (২১) সঙ্গে ছয় মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বৃষ্টির। লিটন মিয়া মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে বৃষ্টিকে মারধর করতেন তার স্বামী লিটন মিয়া। আজ মঙ্গলবার ভোরেও বৃষ্টি তার বাবাকে ফোন করে সেখান থেকে তাকে নিয়ে যেতে বলে। কিছুক্ষণ পর লিটন মিয়া বৃষ্টির বাবাকে ফোনে জানান বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে।
নিহত বৃষ্টির বাবা বুলবুল আহম্মেদ বুলু অভিযোগ করে বলেন, ‘যৌতুকের জন্য মোর ছইলোক মারি ফ্যালে লাশ খাটের উপুর থুইয়া জামাইসহ বাড়ির সবাই পলাইচে। মুই আর কোনো দিন ছইলোক ফিরি পাবার নাও, কিন্তু হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তি চাও।’
স্থানীয় এক গৃহবধূ বলেন, ‘ওই বাড়িতে লিটন মিয়া ও তাঁর বাবা-মা থাকতেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। তবুও সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুরে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বৃষ্টির স্বামীসহ শ্বশুর-শাশুড়ি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তাঁদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’