যৌতুক না পেয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় আতোয়ার রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আতোয়ার রহমান উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের শতিরজান গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে আতোয়ার রহমান পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে ১৩ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকসহ বিভিন্ন পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল।
২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি সকালে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেন আতোয়ার। এতে স্ত্রী অসম্মতি জানালে ওই দিন রাতে আতোয়ার স্ত্রী আনোয়ারাকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরে আহত আনোয়ারাকে বাড়ির উঠানে নিয়ে তারই ওড়না গলায় পেঁচিয়ে টানাহেঁচড়া করতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনোয়ারা।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মহির উদ্দিন বাদী হয়ে আতোয়ারকে একমাত্র আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর এক সপ্তাহ পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আতোয়ারকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, আসামি আতোয়ার গ্রেপ্তারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।