কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রীনিবাসের সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গির অভিযোগে এক যুবককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসফিকুল আলম হালিম ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড দেন। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আতাউল হক খান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম জাকির হোসেন (২৫)। তাঁর বাড়ি উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এবং টুপামারীর দীঘি (জিয়া পুকুর) নামক বিনোদন পার্কে পাহারাদারের কাজ করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক কলেজের ছাত্রীনিবাসের সামনে দাঁড়িয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। আবাসিক শিক্ষার্থীদের মারফত খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ জাকির হোসেনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও অভিযুক্ত জাকিরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ওই যুবক তাৎক্ষণিক জরিমানার এক হাজার টাকা জমা দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
উপাধ্যক্ষ বলেন, ‘ছাত্রীনিবাসের এক ছাত্রী ওই যুবকের অশালীন অঙ্গভঙ্গি কৌশলে ভিডিও করেন। সেটি প্রমাণ হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই যুবক এর আগেও ছাত্রীনিবাসের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরক্ত করেছে বলে অভিযোগ ছিল। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’