বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কাউন্সিলরসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০০ জন। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার সকাল ১০টা থেকেই পাবলিক লাইব্রেরি থেকে সিটি বাজার কৈলাশরঞ্জন মোড় এলাকা পর্যন্ত দখলে নিয়ে অবস্থান করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। অন্যদিকে, বেতপট্টিতে অফিসে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা কৈলাশরঞ্জন মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে নগর ভবনের দিকে যেতে থাকে। পরে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পাল্টা তাদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের গুলি করতে দেখা যায়। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যান এবং কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে বদরগঞ্জে এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়ি, মিঠাপুকুরে সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়ি, উপজেলা অফিস, অডিটরিয়াম, আনসার–ভিডিপি অফিস, পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা।
রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘শুনেছি দুজন মারা গেছেন। আমাদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়।’