গাইবান্ধা সদর উপজেলায় এক বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তাঁর নাম লতিফা বেগম (৬০)। শনিবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে জলের মোড় রামচন্দ্র গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তিনি একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে একাই ছিলেন লতিফা বেগম। তাঁর স্বামী শুক্রবার (৩০ জুন) মেয়ের বাড়িতে কোরবানির মাংস নিয়ে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফেরেননি তিনি। লতিফা বেগমের ছেলে সাদুল্যাপুর একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। লতিফা ছাড়া বাড়িটিতে আর কোনো লোকজন ছিলেন না।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির গৃহকর্মী কাজ করার জন্য ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে লতিফার গলাকাটা লাশ দেখে চিৎকার দেন। পরে আশপাশের লোক ছুটে আসে। স্থানীয়রা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচাতো ভাই হবিবর বলেন, ‘কে বা কারা আমার বোনকে গলা কেটে হত্যা করে রেখে গেছেন আমরা এখনো বলতে পারছি না। সন্দেহ তো আছেই। নিহতের স্বামী, ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয়স্বজন আসার পর বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমার বোনকে পরিকল্পনা করে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এখন কিছু বলতে পারব না।’
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তবে কী কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’