কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই শিক্ষকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার সকালে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রে আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই দুই শিক্ষককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড পাওয়া ওই দুই শিক্ষক ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক জোবায়ের হোসেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ও ভূরুঙ্গামারী আমলি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই কোর্টের জিআরও সিরাজুল ইসলাম।
ওসি জানান, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর রহমানসহ ওই স্কুলের পাঁচ শিক্ষক ও এক পিয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আরও দুই শিক্ষককে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে আদালত আজ সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন ।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত প্রধান শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।
মামলায় এজাহারনামীয় অপর আসামি ও ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পলাতক অফিস সহকারী আবু হানিফকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ওই কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লৎফর রহমানের কক্ষ থেকে ছয় বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা তখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষি ও রসায়ন—এই চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিতসহ ছয় বিষয়ের প্রশ্ন বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড।