দিনাজপুর নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক স্কুল শিক্ষিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে চলছে নানা রহস্য। হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন ও পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আর রহস্য জন্ম দিয়েছে মৃতের নিজ বাড়ির আঙিনার একটি বকুল গাছ নিয়ে।
মৃত ওই স্কুল শিক্ষিকার নাম মোছা. জান্নাতুন আলিয়া। তিনি উপজেলার ২ নম্বর বিনোদনগর ইউনিয়নের রামপুর বাজার এলাকার মো. সোলায়মান মাস্টারের মেয়ে ও কলেজশিক্ষক এরশাদুল হকের স্ত্রী। বাবার গ্রামে নতুন বাড়ি বানিয়ে স্বামী নিয়ে থাকতেন নিহত শিক্ষিকা।
জানা যায়, স্ত্রী জান্নাতুন আলিয়া গত ৬ জুলাই নিজ বাড়ির আঙিনায় বকুল ফুলের গাছের ডালে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন, এই মর্মে স্বামী এরশাদুল হক থানায় সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেন। পরে মৃতের ভাই সুলতান সালাউদ্দিন এরশাদ হককে প্রধান আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা দায়ের করেন।
মৃত শিক্ষিকার ভাই সালাউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, বোন আলিয়াকে ভোরে বকুল ফুলের গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখার বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় কেউ দেখেননি। আঙিনায় থাকা বকুল গাছটিতে ঝুলার মত কোন ডালও ছিল না, যে ডাল ছিল তাতে ঝুলে পড়া তাঁর একার পক্ষে সম্ভব না। এরশাদুল হক আসল ঘটনাকে আড়াল করতে এমন মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মৃত আলিয়ার প্রতিবেশী মো. রিপন বলেন, `সেখানে গাছে ঝুলে পড়ার মত আমরা কোন কিছু পাইনি। তা ছাড়া আলিয়ার মত একজন মানুষ গড়ার কারিগর আত্মহত্যা করবে এটা অবিশ্বাস্য।'
নবাবগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অশোক কুমার চৌহান জানান, বকুল গাছটিতে কীভাবে ঝুলতে পারে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।