রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার রফিকুল ইসলাম নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক যুবককে হাতকড়া পরিয়ে বাড়ি থেকে অপহরণ, মারপিট ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেলে আলমবিদিতর ইউনিয়নের সয়রাবাড়ী বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রফিকুল ইসলাম উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের পশ্চিম মনিরাম এলাকার আব্দুল ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল রাত ১টায় আলমবিদিতর ইউনিয়নের চওড়াপাড়া গ্রামের নূর ইসলাম আপাছের বাড়িতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অজ্ঞাত ৭ জন যুবক ঢোকে। এ সময় নূর ইসলামের ছেলে সোনা মিয়াকে মারপিট করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে সোনা মিয়ার প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার মাধ্যমে অপহরণকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পার্শ্ববর্তী নোহালী ইউনিয়নের একটি চাতাল থেকে সোনা মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল অজ্ঞাত অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোনা মিয়ার বাবা নূর ইসলাম।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ নিয়ে ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ওসি আরও জানান, এর আগে গত ১৭ এপ্রিল (সোমবার) রাতে পঞ্চগড় থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাসুদ রানাকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। ওই পুলিশ সদস্য রংপুর রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স থেকে পঞ্চগড় পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
এ ছাড়া গত শনিবার (৬ মে) রাতে পাবনা সদর উপজেলা এলাকা থেকে সুরুজ মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সুরুজ মিয়া গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের মন্ডলের হাট এলাকার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে।