বোনের বিয়েতে ছবি তুলতে ও ভিডিওগ্রাফি করার জন্য ফটোগ্রাফার ভাড়া করেন। অগ্রিম বুকিং দিলে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ১১ লাখ টাকার ক্যামেরা সেটআপ নিয়ে ফটোগ্রাফার আসনে রংপুরে। এরপর ফটোগ্রাফারকে নির্জন এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। ফটোগ্রাফার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৃত্যু ভেবে ছিনিয়ে নেয় নগদ টাকা ও ক্যামেরাসহ অন্যান্য সেটআপ। ঘটনাটি গত ২১ ফেব্রুয়ারি রংপুর নগরীর বড়বাড়ি সিংগীমারী বাগান বাড়ি এলাকার।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আহত ফটোগ্রাফার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডের ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, রংপুর নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ি মুক্তারপাড়া এলাকার সাঈদ (২২) ও নুরপুর এলাকার সীমান্ত (২৪)। এ সময় ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অভিযুক্ত সাঈদ বোনের বিয়ের ছবি তোলার কথা বলে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার বাশহাটি তালজাঙ্গা এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে পেশাদার ফটোগ্রাফার বিল্লাল হোসেনকে ডেকে আনে রংপুরে। এরপর নগরীর বড়বাড়ি সিংগীমারীর এলাকার বাগান বাড়িতে ভিডিওর কথা বলে সাঈদ ও তাঁর বন্ধু সীমান্ত মিলে ফটোগ্রাফার বিল্লাল হোসেনকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে ছোরা দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয় তাঁকে।
রক্তাক্ত অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে মৃত ভেবে আনুমানিক ১১ লাখ টাকার ক্যামেরা ও নগদ ৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সাঈদ ও সীমান্ত। এরপর গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে আরেক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপন করেন।
এদিকে ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই মোনায়েম খান বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুরে বন্ধুর বাড়ি থেকে মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর চিকিৎসা এবং অন্যান্য বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।