সুনামগঞ্জের শাল্লায় ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’র ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের মামলায় কারাবরণকারী সেই ঝুমন দাসকে (২৬) ফের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত ঝুমন দাস শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে।
এ বিষয়ে ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত রোববার বেলা ৩টার দিকে ঝুমন দাস তাঁর ‘ঝুমন দাস আপন’ ফেসবুক আইডিতে ‘মসজিদ-মন্দির’ নিয়ে একটি ‘উসকানিমূলক’ পোস্ট করেন। ওই পোস্টের পর এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঝুমন দাসকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় পোস্টটি তাঁর করা বলে স্বীকার করেন তিনি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শাল্লা থানার পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। পরে সেই মামলায় ঝুমন দাসকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
ওসি আরও বলেন, আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ সকালে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হাবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁওয়ে সংখ্যালঘুদের গ্রামে হামলা চালানো হয়। ওই গ্রামের ঝুমন দাস নামে একজন হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওই হামলা চালানো হয়। হামলা এড়াতে এক দিন আগে ১৬ মার্চ ঝুমন দাসকে পুলিশ হেফাজতে দেন ওই গ্রামের সংখ্যালঘুরা। পাঁচ দিন পর ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন শাল্লা থানার পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।