নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেটে হিজড়ার বেশে থাকা এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে নগরের সুবহানীঘাট সবজিবাজার সংলগ্ন একটি খোলা জায়গা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুষার মিয়া (২০) ময়মনসিংহ জেলার আবুল হাশেমের ছেলে। নগরের খাসদবির সাজু মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার সুবহানীঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) জগৎজ্যোতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মরদেহের গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘তুষার নারীর ছদ্মবেশে হিজড়ার রূপ ধরে থাকতেন। তিনি হিজড়াদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। ভোররাতে ওখানে তিনিসহ আরও ৩ / ৪ জন ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে গলায় রশি ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধস্তাধস্তিরও আলামত মিলেছে। আমরা জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছি।’
তুষারের বড় ভাই হিমেল আহমদ রাফি বলেন, তাঁর ভাই হিজড়া নন। কিন্তু হিজড়াদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। প্রতিদিনের মতো রাতে ভাইকে কয়েকজন হিজড়া ডেকে নিয়ে যান। এরপর কে বা কারা তাঁকে হত্যা করেছে। রাফি বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে এই মুহূর্তে আমরা তুষারের লাশ দাফনের জন্য নগরের মানিকপির টিলায় নিয়ে এসেছি। দাফন শেষে আমরা হত্যা মামলা করব।’
রাফি জানান, প্রাথমিকের পর তুষারের পড়ালেখা আর এগোয়নি। পরিবার থেকে নানাভাবে চেষ্টা করেও মাধ্যমিকে ভর্তি করা যায়নি। ধীরে ধীরে হিজড়াদের সঙ্গে মেলামেশা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় প্রতি রাতেই হিজড়াদের মতো করে নিজেকে সাজিয়ে হিজড়া বন্ধুদের সঙ্গে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে শুরু করেন তুষার।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হিজড়া বন্ধুরা তাঁকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আজ সকাল ৯টার দিকে তুষারের মরদেহ নগরের সোবহানীঘাটে পাওয়া যায়।