সিলেট প্রতিনিধি
সিলেটে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে আরিফ হাসান (১৯) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার রাত ১২টার দিকে দিকে নগরের শাহী ঈদগাহ টিভি গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফ নগরের টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। সে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলামের গ্রুপের সক্রিয় কর্মী। আজ মঙ্গলবার আছর নামাজের পর সিলেট টিভি গেইট জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, হিরণ মাহমুদ নিপু ও নাজমুল ইসলামের কর্মীদের মধ্যে কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আরিফকে ফেলে যান অপর গ্রুপের কর্মীরা।
পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে রাত ১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আরিফ মারা যান।
এদিকে মঙ্গলবার নগরের পৃথক স্থান থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। আটকেরা হলেন—বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি (২১) ও কামাল মিয়ার ছেলে মামুন মজুমদার (২৮)। তাঁরা দুজনই সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য হিরণ মাহমুদ নিপুকে একাধিকবার কল দিলেও তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, নিহত আরিফ সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচ দিন আগে আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় গত রাতে তার মা শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতেই হামলা চালায়।
সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন সিপন জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, গত রাতে আরিফের মা বাদী হয়ে ছয়জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত (দুপুর ৩টা) হত্যা মামলা দায়ের করা হয়নি।