অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আদালতের আদেশে প্রাক্তন প্রেমিক জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কয়েক দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, লরেন জোহানসেনের (২২) মৃতদেহ গত ৩ জুলাই মিসিসিপির একটি সমাধিস্থলে ট্র্যাশ ব্যাগ ও একটি চাদরে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর বাবা বলেছেন, তিনি মেয়ের প্রাক্তন প্রেমিককে জামিন না দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি সতর্ক করেছিলেন, ছাড়া পেলে সে তাঁর মেয়েকে হত্যা করবে।
কিন্তু বাবার আরজিতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পাঁচ দিন পর নিজের গাড়িতে ওই তরুণীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তাঁর প্রেমিকই দায়ী।
নিউইয়র্ক পোস্ট অনুসারে, জোহানসেনের প্রাক্তন ২৩ বছর বয়সী ব্রিসেন রিভারসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তরুণীর লাশ উদ্ধারের মাত্র পাঁচ দিন আগে মুচলেকা দিয়ে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে ন্যাশভিলে ভ্রমণের সময় জোহানসেনকে নির্মমভাবে মারধর ও জিম্মি করেছিলেন ব্রিসেন।
জোহানসেন নার্সিংয়ে পড়াশোনা করছিলেন। গত ২ জুলাই প্রথমে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর পান তাঁর বোন। একই অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন তাঁরা। তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখেন সামনের দরজা খোলা এবং নিরাপত্তা ক্যামেরা ভেঙে পড়ে আছে। সকালে তাঁর বাবা বলেন, জোহানসেনের মোবাইল ফোনের ট্র্যাকিং অ্যাপ বন্ধ করার একটি নোটিফিকেশন পেয়ে জেগে ওঠেন তিনি। এরপর পুলিশকে জানান। পুলিশ কর্মকর্তারা পরদিন তাঁকে জানান, জোহানসেনের গাড়িটি কাছাকাছি একটি সমাধিস্থলে তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন।
মিসিসিপির হ্যারিসন কাউন্টির একটি সমাধিস্থলের মাঝখানে পার্ক করা গাড়িতে জোহানসেনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর বিকৃত দেহটি পেছনের সিটের ওপর ট্র্যাশ ব্যাগে মোড়ানো ছিল।
তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মুখ ও মাথা বিকৃত হয়ে গেছে। মাথায় একাধিক ছিদ্র দেখা গেছে। নিজ হাতে মেয়ের মরদেহটি পুলিশের গাড়িতে তুলে দিয়ে এমনটি জানিয়েছেন জোহানসেনের বাবা।
মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়া বাবা যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি মনে করি, টেনেসির ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা আমার মেয়ে এবং আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করেছে। আমার মেয়েটা অনেক সুন্দরী, দারুণ স্মার্ট ছিল! তার স্বপ্ন এবং আশা ছিল জীবনের চেয়েও বড়।’