হোম > শিক্ষা

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-১.৩)

এ টি এম মোজাফফর হোসেন

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮: ৫৭
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮: ৫৭

৭। পরিচিতিমূলক সূচনা

লিসেনিংয়ের প্রারম্ভে সার্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এখানে শব্দযন্ত্র পরীক্ষা করা তথা পরীক্ষা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া হয়। বিষয়টি আগে থেকে জানা থাকলে এই সময়টাকে অনেকভাবে কাজে লাগানো যায়। প্রত্যেক সেকশনের শুরুতে এমনটি হয়। সুতরাং একইভাবে সময়গুলোকে কাজে লাগান এবং সেই মোতাবেক অনুশীলন করুন।

৮। প্রশ্নগুচ্ছ খেয়াল করা

(Group of Question)

লিসেনিংয়ে প্রশ্নগুলো ছোট ছোট গুচ্ছাকারে ভাগ করা থাকে। একেকটি গুচ্ছে ৪-৫টি প্রশ্ন থাকতে পারে। আবার ১০টিও থাকতে পারে। অনেক সময় একটি গুচ্ছে মাত্র একটি প্রশ্নও থাকতে পারে।

টিপস: রেকর্ডিংয়ের শুরুতেই বলে দেয় যে কত নম্বর থেকে কত নম্বর প্রশ্ন (প্রশ্ন গুচ্ছ) সম্পর্কে বলবে। এই ধরুন, রেকর্ডিংয়ে বলল এখন ১-৫নং প্রশ্নের দিকে খেয়াল করুন। তারপর ২০-৩০ সেকেন্ড রেকর্ডিং নিশ্চুপ থাকে। ওই সময়টুকু খুব জরুরি এবং তা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

এই সময়টুকু কীভাবে কাজে লাগাবেন? প্রথম কাজ হলো ৫ নম্বর প্রশ্নের নিচে একটা লাইন টেনে নেবেন। যাতে করে খেয়াল থাকে যে ওই গুচ্ছ প্রশ্নের উত্তরের জন্য রেকর্ডিং এই পর্যন্ত বলবে।

দ্বিতীয় কাজ হলো ঝটপট প্রশ্নগুলোতে চোখ বুলিয়ে কি-ওয়ার্ডগুলো দাগিয়ে নেওয়া। যাতে পরে রেকর্ডিং শোনার সময় সহজেই সেসব চোখে পড়ে। তৃতীয় কাজ হলো কী প্রশ্ন করেছে, তা বুঝে ফেলা। সুতরাং আপনি এখন জানেন প্রশ্নপত্রে কী জানতে চাচ্ছে। চতুর্থ কাজ হলো রেকর্ডিং শোনার জন্য নিজের কানকে প্রস্তুত করা। রেকর্ডিং মনোযোগ দিয়ে শুনে তা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে অনুশীলনের মাধ্যমে এই দক্ষতাগুলো অর্জন সম্ভব। তারপর পরবর্তী গুচ্ছের জন্য পুনরায় একইভাবে বলবে। অনুরূপভাবে সময়টাকে কাজে লাগান।

৯। একই সঙ্গে পড়া, শোনা এবং লেখার দক্ষতা (Reading, listening and writing skill) লিসেনিংয়ে ভালো করতে হলে একই সঙ্গে তিনটি দক্ষতার সমন্বয় প্রয়োজন। যেমন প্রশ্নপত্র পড়া, রেকর্ডিং শোনা ও নোট নেওয়া। প্রতিটি সেগমেন্টের রেকর্ডিংয়ের কথা শুরু হওয়ার পূর্বে অল্প কিছু সময় থাকে। রেকর্ডিং তখন প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরিচিত করে দেয়। এই সময়টাকে কাজে লাগানো খুব জরুরি। এ সময়ে প্রশ্নপত্রটি পড়তে হবে, বুঝতে হবে এবং কি-পয়েন্টগুলো দাগাতে হবে।

যখন রেকর্ডিং চলতে থাকে তখন তা মনোযোগ দিয়ে শুনে সঙ্গে সঙ্গে নোট করে ফেলতে হবে। কারণ রেকর্ডিং একবার শুরু হলে শেষ অবধি বিরতিহীনভাবে চলতেই থাকবে। প্রথম প্রথম মনে হতে পারে, যা বলছে তা তো কোনো কঠিন কথা নয়, ওসব ঠিক ঠিক মনে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন। পরবর্তী রেকর্ডিং আসতে থাকলে আগেরগুলো নিশ্চিত ভুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং সঠিক কার্যকরী নোট টেকিং দক্ষতা এখানে খুব প্রয়োজন।

টিপস: সেগমেন্টের শুরুতেই রেকর্ডিংয়ের নিশ্চুপ সময়টুকু এবং প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরিচিতিমূলক অংশের সময়টুকু কাজে লাগাতে হবে। একই সঙ্গে প্রশ্নপত্র পড়া, রেকর্ডিং শোনা এবং নোট নেওয়ার দক্ষতা অর্জন করুন। অবাস্তব মনে হলেও অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করা খুব সম্ভব।

১০। গুরুত্বপূর্ণ শব্দ (কি-ওয়ার্ড)

লিসেনিংয়ে রেকর্ডিং শোনার পূর্বেই প্রশ্নপত্র পড়তে হবে ও কি-ওয়ার্ডগুলো দাগাতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে প্রকৃত উত্তর জানা যায় না, তবে ‘কি-ওয়ার্ড’ রেকর্ডিংয়ের কোথায় কোথায় উত্তর থাকার সম্ভাবনা আছে, তা জানতে দারুণভাবে সাহায্য করে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটি আবার কী করে সম্ভব। কিন্তু অনুশীলন করলে তা সহজেই সম্ভব।

চলবে... (পর্ব-১.৪ আগামী সংখ্যায়)

আগের সরকারের সময় মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেওয়া হয়নি: শিক্ষা উপদেষ্টা

সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের আয়োজনে ‘ইকো-ফেস্ট’ অনুষ্ঠিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে পিঠা উৎসব

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু জুনের শেষ সপ্তাহে