দেশের শিক্ষাবোর্ডের সমালোচনা করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, শিক্ষাবোর্ড সার্টিফেশনের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে। অথচ বোর্ডের কাজ-মূল্যায়ন করেই শিক্ষার্থীদের সার্টিফাই করা। তাঁরা মূল্যায়নের ওপরে সঠিকভাবে গবেষণা করেন না, করার চেষ্টাও করছেন না।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ‘কোভিড পরিস্থিতি: শিক্ষার চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শুধু সনদ দেওয়ার মধ্যে বোর্ডের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকে উল্লেখ করে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, কারণ, সার্টিফেকশন করা খুব সহজ। পরীক্ষা নেব, সাটিফাই করব আর পয়সা পেয়ে যাবে বোর্ড। দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোতে শত শত কোটি টাকা আছে। এই কোটি কোটি টাকা নিয়ে…আর নাগরিক কিছু সেবা থাকে। এগুলো কতটুকু শিক্ষাবোর্ডের কাজ।
নওফেল বলেন, দেশে এসএসসি সার্টিফিকেট এখন জমি-জমা, বয়স, বিয়ে সবকিছুর জন্য প্রয়োজনীয়। এটিতো শিক্ষাবোর্ডের কাজ নয়। শিক্ষাবোর্ডের কাজ গবেষণা করা। যেহেতু হচ্ছে না তাই আমরা জাতীয় এক্সামিনেশনের অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে মোটামুটি আইন তৈরি করে ফেলেছি। শিক্ষাবোর্ড সেগুলো সার্টিফাই করবে।
দক্ষতামূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা যাতে অংশগ্রহণ করে সেদিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই মানসিকতা তৈরি করে দিচ্ছি, শিক্ষার্থীরা চেয়ার-টেবিলে বসবে, ফ্যানের নিচে বসে ফাইল স্বাক্ষরের চাকরি করবে। অথবা সেই ধরনের কাজের সঙ্গে তারা যুক্ত হবে। এর চেয়ে ভ্রান্ত মানসিকতা ও বিভ্রান্তিকর শিক্ষা আর হতে পারে না। উন্নত দেশে বই-খাতায় শেখানোর পাশাপাশি দক্ষতা নির্ভর শিক্ষাও দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানটি দুপুর ১২টায় হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় দুপুর দেড়টায়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী।