দেশে বর্তমানে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯১ জন কারিগরি শিক্ষার্থী রয়েছে। সার্বিক শিক্ষার্থী ভর্তির বিবেচনায় কারিগরিতে এনরোলমেন্টের হার ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ২৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সেটা পূরণ হয়নি।
আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে কারিগরি শিক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এতে জানানো হয়-কারিগরিতে ২০২৫ সালে ২৫ শতাংশ, ২০৩০ সালে ৩০ শতাংশ, ২০৪১ সালে ৪১ শতাংশ এনরোলমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অবশ্য এ বছর জানুয়ারিতে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, সরকার ২০৪১ সালে কারিগরিতে এনরোলমেন্ট হার ৫০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) প্রকাশিত রিপোর্টের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে মোট এনরোলমেন্ট ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮২৯ জন। যেখানে কারিগরি শিক্ষায় ১২ লাখ ৬২ হাজার ৭৬১ জন অর্থাৎ এনরোলমেন্ট হার ১৬.০৫ শতাংশ। এই হয়েছে চার বছরে এনরোলমেন্ট বেড়েছে এক দশমিক ২০ শতাংশ। এ সময়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৯০০ জন।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি কারিগরি বৃত্তি সনদ প্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
বৈঠকে দক্ষতাভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের প্রায়োগিক ব্যবহার ও কার্যক্রম এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাদানের অগ্রগতির ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়।
কমিটির সভাপতি আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আব্দুল কুদ্দুস, এ কে এম শাহজাহান কামাল, ফজলে হোসেন বাদশা, আবদুস সোবহান মিয়া এবং এম এ মতিন অংশগ্রহণ করেন।