সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে স্বাধীন কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শিক্ষা খাতে দুর্নীতি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিভিন্ন সময় দেওয়া প্রতিবেদন ও সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, ইউজিসি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
এর আগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নূরুল হুদা।
গত ৩ জুন রিটটি করা হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আইনজীবী নূরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি হয়ে আসছে। গত ৫ বছরে ২৭–৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে ইউজিসি তদন্ত করেছে। তারা রিপোর্ট দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেখানে দুর্নীতির প্রমাণ মেলার পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেটা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছি।’