স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসকদের অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষা এমআরসিপি (ইউকে) পরীক্ষা এখন থেকে বাংলাদেশেই নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশে এমআরসিপি পার্ট-২ পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত একটি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান অব এডিনবার্গ–এর ওভারসিস আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কাজী তারিকুল ইসলাম। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এমআরসিপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে বাংলাদেশের প্রায় এক হাজার প্রার্থী বর্তমানে অপেক্ষমাণ আছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসকগণ এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করলেও সুযোগ পান খুবই কম। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ভারত ও সিঙ্গাপুরে এই পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া কুয়েত, ওমান, কাতার, মিশর, মালয়েশিয়ায় এমআরসিপি পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলোতে অংশ নেওয়া যায়। কিন্তু এসব দেশে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল। এসব বিষয় চিন্তা করে দেশেই এই পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে দেশের চিকিৎসকদের অনেক সুবিধা হবে।’
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আর্থিক ব্যয় প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রতি প্রার্থীকে ২-৩ লাখ টাকা করে ব্যয় করতে হয়। বাংলাদেশে এটি আয়োজন করা গেলে দেশের প্রার্থীদের ব্যয় অনেক কমে আসবে। আবার বিদেশি শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।’
প্রসঙ্গত, কোভিডকালীন সময়ে দেশের অনেক চিকিৎসক এমআরসিপি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। পরবর্তীতে দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখতে বিদেশে ভ্রমণে সরকারের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করায় সরকারি চাকরিজীবী অনেক চিকিৎসক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি পাননি।