ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ভারত সরকার বাংলাদেশে অবস্থিত নিজেদের মিশনগুলো ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। এতে বাংলাদেশে দূতাবাস নেই, এমন অনেক দেশের ভিসার জন্য মূলত শিক্ষার্থীদের দিল্লিতে দেশগুলোর দূতাবাসে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভিসা প্রার্থীদের জন্য বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প দূতাবাস নির্ধারণ করে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশগুলোকে অনুরোধ জানায়। এ অনুরোধে সাড়া দিয়ে বুলগেরিয়া ও কাজাখস্তান সরকার অন্য দেশে অবস্থিত নিজেদের মিশনকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভিসার বিষয়টি দেখতে বলেছে।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুলগেরিয়ায় পড়তে যাবেন, এমন ১২২ বাংলাদেশিকে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত দেশটির দূতাবাসে ভিসার আবেদন করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম আজ সোমবার ঢাকায় এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ভিএফএসর মাধ্যমেও বুলগেরিয়া ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে রাজি হয়েছে। এ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
মুখপাত্র জানান, কাজাখস্তান থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাসকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে।
রফিকুল আলম বলেন, রোমানিয়া সরকার থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে অবস্থিত তাদের দূতাবাস থেকে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদন বিবেচনা করা শুরু করেছিল। কিছুদিন পর তারা এ সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে রোমানিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে।